ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় গঠিত অনুসন্ধান কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপাচার্য বরাবর জমা দিয়েছে।

সোমবার সকালে উপাচার্য কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রতিবেদনটি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “প্রয়োজনীয় নিয়মকানুন মেনে এই অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধান অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত ১৩ মে রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হন শিক্ষার্থী সাম্য। রাত প্রায় ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়।

এই নির্মম ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আট সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকেও আলাদা তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঘটনার পরদিন, ১৪ মে, নিহত সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, যেখানে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

উক্ত মামলার ভিত্তিতে পুলিশ এখন পর্যন্ত ছয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে। সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ আয়োজন করে আসছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।