চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, টার্মিনাল দিচ্ছি: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না। শুধু বন্দরের টার্মিনাল যাতে তারা উন্নতভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারে এবং সেখানে বিনিয়োগ করে, আমরা সেই কাজটি করছি। এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলারের (৩ বিলিয়ন) নিশ্চয়তা পেয়েছি। অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে তারা (বিদেশি কোম্পানি) এ অর্থ বিনিয়োগ করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়লে দেশের পুরো অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
আজ রবিবার রাজধানীর পল্টনে পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ‘সিএমজেএফ টক উইথ শফিকুল আলম’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো গন্তব্য পুরো বিশ্বে নেই বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন বাংলাদেশকে একটি উৎপাদনমুখী কেন্দ্র (ম্যানুফ্যাকচারিং হাব) হিসেবে তৈরি করা। কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করার মূল শর্ত হচ্ছে সবার আগে বন্দরকে এফিশিয়েন্ট করতে হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বন্দরকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি আমাদের কাছে নেই। আমাদের সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা নেই, দক্ষতাও নেই। এ জন্য আমরা বিদেশের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি। দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড, এ পি মোলার মায়ার্সক, পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথোরিটির সঙ্গে কথা বলছি। তারা এলে আমাদের বন্দরের এফিশিয়েন্সি বাড়বে।’
শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ অর্থনৈতিক অঞ্চলই খালি পড়ে রয়েছে, মহিষের বাথান হয়ে গেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে জমি অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছে, কিন্তু কোনো বিনিয়োগকারী আসছেন না। এর অন্যতম প্রধান কারণ বন্দরের কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা নেই।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান অন্তরবর্তী সরকারের মেয়াদ যে সময়ে শেষ হবে, তখন বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) একটা বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। এটার একটা কারণ হচ্ছে আমরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের বড় ধরনের সংস্কার (ডিপ রিফর্ম) করতে চাচ্ছি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবস্থাপনা করতে পারে সেটি আমরা চাচ্ছি।