Logo
Logo
×

সংবাদ

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ৯ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ৯ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ

যুক্তরাজ্যের একটি অপরাধ দমন সংস্থা লন্ডনে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির ৯ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ করেছে।

 বাংলাদেশ সরকার এই সম্পদের খোঁজে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইছিল। এরই মধ্যে এই জব্দের ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ৯টি সম্পত্তি আটকের আদেশ পেয়েছে।

 এই আদেশ অনুযায়ী, আহমেদ শায়ান এফ রহমান এবং তাঁর চাচাতো ভাই আহমেদ শাহরিয়ার রহমান তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন না।

 জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে লন্ডনের গ্রোসভেনর স্কয়ারের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

 দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ।

সব সম্পত্তি বিদেশি কোম্পানির নামে কেনা হয়েছে।

 এই কোম্পানিগুলোর নিবন্ধন হয়েছে ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, আইল অব ম্যান এবং জার্সিতে।

 প্রতি সম্পত্তির দাম ১২ লাখ পাউন্ড থেকে শুরু করে ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত।

শায়ান এফ রহমান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে।

 শাহরিয়ার রহমান তাঁর ভাতিজা।

 গত বছর আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা হারায়।

 পালিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়েন সালমান এফ রহমান।

 তিনি এখন জেলে আছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

 তিনি শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা ছিলেন।

 অনেকে মনে করেন, তিনি ছিলেন ওই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি।

গত বছর দ্য গার্ডিয়ান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একসঙ্গে তদন্ত চালায়।

 তাতে শায়ান ও শাহরিয়ারের নামে ৪০ কোটি পাউন্ডের সম্পদের তথ্য বের হয়।

আটক করা সম্পত্তির মধ্যে একটি রয়েছে উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে।

 সেখানে থাকতেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা।

 তিনি এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের মা।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রথম জানায়, ৭৭ লাখ পাউন্ড মূল্যের দুটি সম্পদ জব্দ হয়েছে।

 ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত তদন্ত চালিয়ে সব সন্দেহভাজন সম্পদ আটক করা উচিত।

এনসিএ বলেছে, সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে তারা বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করেছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখন সাবেক সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

 টিউলিপ সিদ্দিকের নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

 তিনি সিটি মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

 তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গার্ডিয়ান শায়ান ও তাঁর কোম্পানির আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

শায়ানের মুখপাত্র বলেছেন, তাঁর মক্কেল কোনো দুর্নীতিতে জড়িত নন।

 যদি তদন্ত হয়, তিনি সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।

 অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

 যুক্তরাজ্য যেন এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে—এমন আশা করা হচ্ছে।

সূত্র; দ্য গার্ডিয়ান

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন