বিচারপতি দিলীনুজ্জামানকে হাইকোর্ট থেকে অপসারণ, রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীনুজ্জামানকে পদচ্যুত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের উপধারা (৬) অনুসারে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীনুজ্জামানকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির পদ থেকে অপসারণ করেছেন।
এর আগে, কোটাপ্রথা সংশোধন আন্দোলন চলাকালীন গত বছরের ১৬ জুলাই যে ছয়জন প্রাণ হারান, সেই মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিচারপতি দিলীনুজ্জামান।
২০১৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁকে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালে তিনি স্থায়ী পদোন্নতি পান।
তবে গত বছর ২০ অক্টোবর থেকে ১২ জন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখে হাইকোর্ট প্রশাসন, যাদের একজন ছিলেন দিলীনুজ্জামান। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কয়েকশ শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ, যেখানে ‘আওয়ামীপন্থি স্বৈরাচারী বিচারকদের অপসারণ’ দাবি জানানো হয়।
বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা ১২ বিচারপতির তালিকায় ছিলেন:
বিচারপতি আতাউর রহমান খান
বিচারপতি নাইমা হায়দার
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার
বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস
বিচারপতি খিজির হায়াত
বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান
বিচারপতি খোন্দকার দিলীনুজ্জামান
বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান
বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন
বিচারপতি আমিনুল ইসলাম
বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন
এই তালিকার মধ্যে আতাউর রহমান খান ও আশীষ রঞ্জন দাস ইতোমধ্যে বয়সসীমা পূর্ণ করে অবসরে গেছেন।
অন্যদিকে, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
বিচারপতি আমিনুল ইসলাম ও মাসুদ হোসেন দোলন বিচারপতির চূড়ান্ত নিয়োগ না পাওয়ায় এখন আর সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত নন।
এছাড়া ২০ মার্চ বিচারপতি খিজির হায়াতকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।