Logo
Logo
×

সংবাদ

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

করিডরের বিষয়টি অস্তিত্ববিহীন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম

করিডরের বিষয়টি অস্তিত্ববিহীন

করিডরের বিষয়টি অস্তিত্ববিহীন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

‘করিডর’ ধারণার ব্যাখ্যা করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আরাকানে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করেছে, সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় ত্রাণগুলো ওপারে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যেন সহায়তা করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ রাখাইনে তার নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাবে। আপনারা জাতিসংঘকে জিজ্ঞেস করেন, প্রমাণ পাবেন। আমরা করিডর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলিনি এবং বলব না। আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডরের কোনো প্রয়োজন নেই।’

ড. খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার।’ মিয়ানমারে ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ আবেদনের অপেক্ষা না করেই ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এটিকে তিনি মানবিক অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর ধারণা, এই কাজটি করতে পারলে সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে এবং তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যত দিন আরাকান অস্থিতিশীল থাকবে, আমরা প্রত্যাবাসনের কথা বলতেই পারব না। আর তাহলে তো প্রত্যাবাসন কৌশল নিয়েও কথা বলতে পারব না।’ যারা করিডর নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘অস্তিত্ববিহীন জিনিস নিয়ে কী করে আলাপ করব, যার অস্তিত্ব নাই সেই বিষয়ে আলাপ কী করে হয়।’

ড. খলিলুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় পুনরায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এর আগে প্রায় সাত বছর ধরে এই ইস্যুটি প্রায় উপেক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক গাজা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও পেছনে পড়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন এবং জাতিসংঘকে এই ইস্যুতে একটি সম্মেলন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।  আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে সাড়া দিয়েছে।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন