Logo
Logo
×

সংবাদ

তৃতীয় দিনেও চলছে কাকরাইলে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ১১:১৮ এএম

তৃতীয় দিনেও চলছে কাকরাইলে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

 তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদ মোড়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল থেকে বাসে করে ধাপে ধাপে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা।

সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা যায়, অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রাস্তায় বসে স্লোগান দিচ্ছেন। অনেকেই সারারাত অবস্থান করে আন্দোলনে ছিলেন। মোড়ে তারা দাঁড়িয়ে বারবার বলছিলেন:  “এক দুই তিন চার, হল আমার অধিকার”,

 “সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”,

 “মানি নারে মানি না, বৈষম্য মানি না”।

সকাল থেকেই সড়ক বন্ধ, বাসে করে যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

সকাল ১০টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আতাউল্লাহ আল আহাদ জানান, “শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসে জমায়েত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসে করে সবাই কাকরাইলে আসেন। এরপরেই সমাবেশ শুরু হয়।”

সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল, ফলে আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে: শিক্ষক সমিতির ঘোষণা

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন ঘোষণা দেন, “সরকার এখনো আমাদের কথা শোনেনি। আমরা কোনো গ্রিন সিগন্যাল পাইনি। তাই আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে গণ-অনশনে বসবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা হাল ছাড়ব না। হয় দাবি আদায় হবে, না হয় আমরা এখানেই থাকব যতক্ষণ না আমাদের মৃত্যু হয়। যখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হবে, তখনই আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।”

কাকরাইল মোড়ে লংমার্চে পুলিশের বাধা, আহত অর্ধশত

বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে লংমার্চ শুরু করলে কাকরাইলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে কাকরাইল মোড়ে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি, যা এখনো চলছে।

তিন দফা দাবিগুলো হলো:

১. আবাসন না হওয়া পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

 2. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।

 3. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই দাবিগুলোর ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আন্দোলন বন্ধ হবে তখনই, যখন সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা আসবে।


Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন