Logo
Logo
×

সংবাদ

কাকরাইলে সড়ক অবরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তিন দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:০২ পিএম

কাকরাইলে সড়ক অবরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, তিন দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

পুলিশি হামলার বিচার ও তিন দফা দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের এই অবস্থানে পুরো মোড়জুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। কেউ সড়কে শুয়ে, কেউ বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। রমনা থানার এসআই আবদুল কাদির জানান, আন্দোলনকারীরা রাত থেকেই সেখানে অবস্থান করছেন এবং যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন।

বুধবার দুপুরে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করলে কাকরাইল মসজিদের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।

পরে বিকেলে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী কাকরাইলে অবস্থান নেন, যাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীনসহ আরও অনেকে যোগ দেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যমুনা ভবনের সামনে যাওয়ার অনুমতি নেই কারণ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

বিকেল পাঁচটার দিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনা ভবনে যায়। রাত ১০টার পর তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাবি সমাধানে দ্রুত বৈঠকের আশ্বাস দেন। কিন্তু বক্তব্য চলাকালে এক আন্দোলনকারী তার দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

এরপর গভীর রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দায় নেবে না তবে আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।

তিন দফা দাবিগুলো হলো:

২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন না হওয়া পর্যন্ত আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কেটে কমানো যাবে না, তা পূর্ণভাবে অনুমোদন করতে হবে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন