Logo
Logo
×

সংবাদ

তিন দফা দাবিতে যমুনা অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা, জলকামান–কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ০২:২০ পিএম

তিন দফা দাবিতে যমুনা অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা, জলকামান–কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা

আবাসন ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে যাত্রাপথে কাকরাইল এলাকায় পুলিশ বাঁধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে লংমার্চ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আজ বুধবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। লংমার্চকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে জলকামান ছোড়ে, এরপর একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে, শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে সরে যেতে বাধ্য হন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

লংমার্চ শুরু হয় আজ দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য’ থেকে। এই কর্মসূচির আয়োজক ছিল ‘জুলাই ঐক্য’ নামে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্ল্যাটফর্ম। গতকাল মঙ্গলবার তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়, যখন ইউজিসিতে দেওয়া স্মারকলিপি থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

আজকের কর্মসূচিতে অংশ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।

তাদের তিনটি প্রধান দাবি হলো:

আবাসন বৃত্তি চালু: ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে, যতদিন পর্যন্ত স্বনির্ভর আবাসনব্যবস্থা চালু না হয়।

পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন: প্রস্তাবিত বাজেট যেন কোনো কাটছাঁট ছাড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প যেন আগামী একনেক সভায় অনুমোদন পায় এবং তা অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হবেন তারা।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন