আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর ফোয়ারার সামনে মহাসমাবেশের ডাক

যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে বিশাল গণজমায়েত ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের পাশের ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে যমুনার সামনের চলমান আন্দোলন থেকে এ ঘোষণা দেন হাসনাত। এ সময় তিনি বলেন, “ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণ চলছে। আজ সেখানে মানুষের ঢল নামবে। আজই প্রমাণ হবে – কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ দেখতে চায়।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজপথ ছাড়ব না, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে, তার বিরুদ্ধে বিচারিক রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়।” তিনি দেশজুড়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক শক্তি, নিপীড়িত পরিবার, বিডিআর বিদ্রোহে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, গুম-খুনের শিকার পরিবারদের নিয়ে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
হাসনাতের দাবি, “যমুনার পাশ থেকে শুরু করে বাংলামোটর পর্যন্ত রাস্তা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।” একইসঙ্গে ৫ আগস্ট ও জুলাইয়ের গণআন্দোলনের মতো জনগণকে পথে নামার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “জুমার পর ছাত্রসমাজ ও সাধারণ নাগরিকরা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই ঘরে ফিরব—আজ সিদ্ধান্ত হবে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক কি না।”
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আজও অব্যাহত রয়েছে। এনসিপির কয়েকশ নেতাকর্মী সেখানে নিয়মিত স্লোগানে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শুক্রবার সকাল আটটার দিকে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে আরও কয়েকশ নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
রাত গভীর হতে থাকলেও যমুনার সামনে বিক্ষোভ থেমে থাকেনি। একের পর এক রাজনৈতিক ও ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের, দেড়টার দিকে এবি পার্টির, এবং দুইটার দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সেই দাবি বারবার তুলেছি। ৯ মাস পার হলেও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি—তাই আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।”