নারায়ণগঞ্জের প্রাক্তন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক তিনবারের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শুক্রবার ভোরে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। শহরের দেওভোগ এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে সকাল প্রায় পৌনে ৬টার দিকে তিনি পুলিশের গাড়িতে ওঠেন।
আইভীর বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও হামলার মামলাগুলোও রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। এসব মামলার একটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে, সদর মডেল থানার একটি পুলিশ দল আইভীর পৈতৃক বাড়ি ‘চুনকা কুটিরে’ অভিযান চালায়। গত আগস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা এলাকা ছেড়ে গেলেও আইভী অবস্থান করছিলেন নিজ বাড়িতে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আইভীর গ্রেপ্তার প্রচেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই শত শত স্থানীয় মানুষ সড়কে নেমে আসেন। তারা স্লোগানে জানান, "রাতের আঁধারে" প্রিয় নেত্রীকে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছালেও জনতার বাধার মুখে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।
পরে পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে আইভীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, রাতে তিনি কোথাও যাবেন না। পুলিশ সদস্যরা তখন বাসার ভেতরেই অবস্থান করতে থাকেন। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর তিনি নিজেই পুলিশের গাড়িতে উঠতে সম্মত হন।
তাকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও হাজারো সমর্থক স্লোগানে তার প্রতি সমর্থন জানান। তারা সারারাত বাড়ির সামনেই অবস্থান করেন।