বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণ: একে একে নিভে গেল ৫ প্রদীপ

গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হওয়া ১০ বছর বয়সী শিশু তানজিলা শেষ পর্যন্ত বাঁচল না। রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর মধ্য দিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনেরই মৃত্যু হলো।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শিশুটির শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ২৭ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাড়ির রান্নাঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় বাড়ির রান্নাঘরে গ্যাস লিক করে জমে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুলা জ্বালানোর সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঘরে।
ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দগ্ধ পাঁচজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। পরদিনই প্রথমে সীমা নামে একজন মারা যান। এরপর ২৯ এপ্রিল মারা যান তাসলিমা।
শনিবার সকালে মারা যায় দগ্ধ শিশু আয়ান, আর রবিবার সকালে মারা যায় তার মা পারভীন। রাতে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয় তানজিলার নামও।
নিহত পারভীনের স্বামী মাজহারুল ইসলাম জানান, তারা ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। খবর পেয়ে ফিরে এসে দেখতে পান, আগুনে পুরো ঘর পুড়ে গেছে। শুনেছি, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘরে গ্যাস জমে ছিল। চুলা জ্বালানোর সময়ই বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়।
তিনি আরও জানান, “পারভীন আমার স্ত্রী, আয়ান আমার ছেলে। বাকিরাও ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া।”