“আমি পদত্যাগ করিনি”—কুয়েটের সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। বরং, তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থেকে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন—এমন সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সকালে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি গণমাধ্যমে দেখেছি যে কুয়েটের ভিসি ও প্রোভিসিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং অধ্যাপক হারুন অর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইল পাইনি। আমি নিজে পদত্যাগ করিনি কিংবা পদত্যাগপত্রও পাঠাইনি।”
শেখ শরীফুল আলম জানান, শিক্ষা উপদেষ্টার মোবাইল নম্বর তাঁর কাছে না থাকায় তিনি ইউজিসির একজন সদস্যের মাধ্যমে উপদেষ্টার কাছে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে একপেশেভাবে অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনা পক্ষপাতমূলক, যা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা দিতে পারে।
বুধবার দিবাগত রাত ২টায় আমরণ অনশন ভেঙেছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। অনশনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একটি বার্তায় জানানো হয়, কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে এবং অস্থায়ীভাবে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণ দাবিতে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পরদিন থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা পুনরায় হলে ফিরে যাওয়ার দাবিতে অবস্থান শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন।
গতকাল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি আবাসিক হল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। আগামী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে—এই সিদ্ধান্তও সভায় বহাল রাখা হয়।