Logo
Logo
×

সংবাদ

চীনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ পিএম

‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, এক চীন নীতির প্রতি সমর্থনের কথা ব্যক্ত করে তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। “বাংলাদেশ ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে,” বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

চীনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পথচলায় সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করা হয় এতে।

অবশ্য বাংলাদেশ বরাবরই এক চীন নীতিতে অবস্থান করে আসছে। ফলে, বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিফলন অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ।

তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘এই বাক্যটি হয়তো চীনের আগ্রহে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হোক বা না হোক, এটি কোনো পার্থক্য তৈরি করে না।’

তবে, ‘বিরোধিতার’ এই কথাটিকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না, আরেক সাবেক কূটনীতিক হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘আগে কখনো বাংলাদেশকে এমনভাবে বলতে বা অবস্থান নিতে দেখিনি। এর কোনো অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আছে বলেই মনে হয়।’

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। কিন্তু, তাইওয়ান কি চীনের অংশ, নাকি চীন থেকে আলাদা, এ নিয়ে পক্ষভেদে সংশয় দেখা যায়।

চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। যেটি ভবিষ্যতে কোন একদিন চীনের সঙ্গে বিলুপ্ত হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, তাইওয়ান নিজেকে কিভাবে দেখে সেটার উত্তর এতটা সরল নয়। সেখানে কোনো কোনো দল এবং জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান। কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন