আদালত বসেনি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাথে আলিয়ার শিক্ষার্থীদের বৈঠক
আজ (৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সকালে কার্যক্রম শুরুর সময় হওয়া সত্ত্বেও বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো বিচারক বা আইনজীবীকে সেখানে দেখা যায়নি, এবং বিচারকাজও শুরু হয়নি।
এর আগে, মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। তাঁদের দাবি, ওই মাঠে পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তাই আদালত বসতে দেওয়া হবে না।
এদিকে শহীদ মিনারে অবস্থানরত বিডিআর পরিবারের সদস্য শাকিল আহমেদ বলেন, “গত ২৮শে নভেম্বর মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আদালত সেদিন করেনি। তারা জানিয়েছিল, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুনানি হবে এবং প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। কিন্তু আজও বিচারকাজ শুরু না হওয়ায় আমরা হতাশ।”
অন্যদিকে পুলিশের লালবাগ ডিসি ও সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে বৈঠকে বসেছেন। এর আগে গত রাতেই মাদ্রাসার এজলাস কক্ষে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের লালবাগ স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “রাত চারটা বিশ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেডের মুখে পড়ি। ভেতরে ঢুকে আগুনের শিখা পাওয়া না গেলেও ধোঁয়ার কুণ্ডলি ও পোড়া ছাই দেখা যায়।”
মাদ্রাসা মাঠে ইতোমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি প্যান্ডেল ও ডেকোরেটরের চেয়ার রাখা ছিল। শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার পর বকশীবাজার মোড়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেন, এবং ওই এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সকালে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিডিআর মামলার শুনানি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠেই হবে। এদিকে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। সূত্র: বিবিসি