পুলিশের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ হওয়া প্রত্যেকের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের চতুর্থ তলায় হল অব ইন্টিগ্রেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহারুল আলম শহীদদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান। এ সময় যারা আহত হয়েছে, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

আইজিপি বলেন, গণহত্যায় জড়িত না এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে না। পুলিশের কতজন সদস্য গণহত্যায় জড়িত জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, এখনই এই সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে তাদের সংখ্যা নিশ্চিত করা হবে এবং চিহ্নিত করা হবে। গণহত্যায় জড়িত না অনেক নিরীহ পুলিশ সদস্য কেউ আসামি করা হয়েছে।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, এই আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বার্থরক্ষায় পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা বাড়াবাড়ি ও আইনভঙ্গ করেছেন। অনেক নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। আমি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

বাহারুল আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। পুলিশের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে হয়েছে। তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সহযোগিতায় এবং সরকারের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন তিনি। দেশের জনগণের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দুরূহ। এ বিষয়ে তিনি সবিনয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, আইনি সেবা প্রত্যাশী জনগণের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ কাজ করবে, তল্লাশি চালাবে। অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পুলিশ সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে এই বাহিনী প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।