আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেলের মতো কিছু পণ্যের দাম কমছেই না। বরং প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। সরকার মূল্য নির্ধারণ করলেও ব্যবসায়ীরা তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোয় গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার প্রতি কেজি নতুন আলু ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। পুরোনো আলুর দাম ৭০-৮০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে আলু আনতে কেজিপ্রতি খরচ ২১ থেকে ৩০ টাকা। পরিবহনসহ সব খরচমিটিয়ে লাভসহ আলু ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু সেই আলুর দাম এখন তিন গুণ বেশি।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। এমনকি তারা সরকারের আদেশও মানছেন না। দেখা গেছে, দেশে যতবার পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, বিক্রেতারা সেটা কার্যকর না করে বেশি দামে বিক্রি করেছে। কিন্তু যেসব তদারকি সংস্থা এ মূল্য কার্যকর করবে, তারাও যেন অসাধুদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের দাম একটু কমলেও খুচরা বাজারে দেশি ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি ১১৫ থেকে ১২০, দেশি হাইব্রিড ১১০ থেকে ১১৫, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯৮ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। ফলে কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছিল। তবে তিন-চারদিন পর তারা আবার সরবরাহ কমাচ্ছে। শুক্রবার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৬৫-১৬৮ টাকায়।