Logo
Logo
×

সংবাদ

ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম

ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ

লং মার্চ চলাকালে পথসভার একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতের অবৈধ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অসংখ্য নদীর সংযোগ আছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে না জানিয়ে এসব নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে। যতগুলো বাঁধ নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলতে হবে।

কর্মসূচি অনুযায়ী লং মার্চটি যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা ও চান্দিনায় একটি পথসভা করে। এরপর বিকালে কুমিল্লার টাউন হলে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে পদযাত্রা নিয়ে বিবির বাজার যাবে লং মার্চটি। 

লং মার্চ শুরুর আগে শাহবাগে একটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল করে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীন দেশে সকল অধিকার আদায় করে নেওয়ার এখনই সুযোগ। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল জনমত তৈরি করতে এই লং মার্চ করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত থেকে আসা ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। এই অঞ্চলের ১১টি জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে অর্ধশতের বেশি মানুষ নিহত হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। 

অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি। তবে ভারত সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

এদিকে, গত ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা ছাড়া বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিক আচরণ করেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে। 

এর একদিন পর ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা যদি অমানবিক হতাম, তাহলে অনেক আগেই সেটা হতে পারতাম–বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে, কারণ বিদ্যুৎ বাবদ প্রায় ১৮০ কোটি ভারতীয় টাকা তাদের কাছে আমাদের বকেয়া আছে। তাও নিয়মিত ৫০-৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা সরবরাহ করে যাচ্ছি। অথচ আমাদের নিজেদের রাজ্যের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই এখন। 

ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন ইস্যুটি অনেক পুরোনো। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টানড. ইউনূস এই নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনের উপায় খুঁজে বের করবে। কারণ বছরের পর বছর এই চুক্তিকে বিলম্বিত করা কোনো দেশের স্বার্থেই ভালো নয়। তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানি-বণ্টন সমস্যাটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে সমাধান করা উচিত। বাংলাদেশের মতো নিম্ন নদীর দেশের তথা ভাটি অঞ্চলের দেশের নির্দিষ্ট কিছু অধিকার রয়েছে এবং সেই অধিকার বাংলাদেশ বজায় রাখতে চায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, (পানি ভাগাভাগির) এই ইস্যুটি নিয়ে বসে থেকে এটি কারও কোনো উদ্দেশ্য সাধন করছে না। আমি যদি জানি আমি কতটা পানি পাব, আমি যদি খুশি না হয়েও স্বাক্ষর করি তারপরও এটি ভালো হবে। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন