আন্দোলনকারীদের দুইজন, যারা বিজয়ের পর ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হলো থানায়।
সম্পূর্ণ পুড়ে ধ্বংসস্তূপ হওয়া যাত্রাবাড়ী থানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বুধবার ভোরে। স্থানীয়রা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজন মারা যান কয়েক ঘণ্টা পরে।
উভয়ের গায়ে ছিল কালি-ঝুলি মাখা, ছিলা-কাটা ও নীলা-ফুলা জখম। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাদের মারপিট করার কথা বলা হয়েছে।
নিহতরা হলেন সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) ও সাইদ আরাফাত শরিফ (২০)।
তাদের যারা হাসপাতালে নেন সেই ব্যক্তিদের বরাতে পুলিশ বলছে, তারা গণপিটুনিতে মারা গেছে।
স্বজনরা বলছে, দুই তরুণ সরকার পতনের পর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও থানা পাহারার কাজ করছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবকদের একজন দাবি করেছেন, ভোরের দিকে একটি হোটেলের ঢুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে তাদের মারধর করে স্থানীয়রা।
গত ৫ আগস্ট ভোরে যাত্রাবাড়ি থানায় আগুন দেওয়া হয়। পরদিন ৬ আগস্ট থানার সামনে চারজন লাশ মেলে।