শিক্ষার্থীদের 'মার্চ ফর জাস্টিস'
সিলেট ও বরিশালে লাঠিচার্জ সংঘর্ষ, ঢাবি, হাইকোর্ট ও সিএমএম কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
বরিশালে মিছিলে পুলিশের দফায় দফায় লাঠিচার্জ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), হাইকোর্ট ও সিএমএম কোর্টে বিক্ষোভ চলছে। তবে সিলেটে ও বরিশালে বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ , টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। পরে সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
এদিকে পুলিশ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৪ জনকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আটক করেছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটকদের নিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী শিক্ষার্থী পুলিশ ভ্যানের সামনে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেখানে আইনজীবীদের একটি দলকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ লেখা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। পরে যোগ দেন আরও ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা একটি মিছিল নিয়ে যোগ দিতে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শিক্ষকরা বসে পড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসেছেন। আমরা সংহতি জানাতে এসেছি। পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে, পরে আমরা বসে পড়েছি।
এদিকে আইনজীবীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকার নিম্ন আদালতে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করছেন। তারা আদালত প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আদালত চত্বর ঘুরে সিএমএম কোর্টের প্রধান ফটকে এলে বিজিবি ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তখন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেন আইনজীবীরা।
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলে শত শত আইনজীবী অংশ নেন।
বরিশালে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনকালে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সমাবেশে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। এতে চারজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।