সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আন্দোলনের বিভক্তি তৈরিসহ নানাভাবে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আলাদা করে কয়েকজন সমন্বয়কের নাম দিয়ে রাজশাহীতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। ধরপাকড়-হুমকি অব্যাহত রয়েছে। তার পরেও আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তারা এখনও আত্মবিশ্বাসী নয়। একাধিক বাহিনীর সূত্র বলছে, তাদের আশঙ্কা আগামী সপ্তাহে আবার ব্যাপক আন্দোলন শুরু হতে পারে। আর শুরু হলে তা হবে আগের চেয়ে ভয়াবহ ও সহিংস।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আন্দোলনে হতাহতের যে সংখ্যা গণমাধ্যমে আসছে তা বিপুল। তার ওপর জনসাধারণ এই সংখ্যাটি বিশ্বাস করছে না। মানুষের বিশ্বাস, হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হতাহতের এই সংখ্যা বিভিন্ন শ্রেণিপেশা ভেদে মানুষের মনে গভীর প্রভাব তৈরি করেছে। ফলে নতুন করে বিক্ষোভ যেকোন সময় শুরু হতে পারে। আর শুরু হলে তা আগের চেয়ে অনেক বেশি সহিংস হতে পারে।
সূত্র মতে, রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে যারা হতাহত হয়েছে তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেক। নিম্নআয়ের যেসব মানুষ আহত হয়েছেন তারা বলতে গেলে চিকিৎসাই পাননি। অনেকে হাসপাতালে ঢুকতেই পারেননি। কেউ যেতে পারলেও তার চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ আরও প্রকট হয়েছে। ফলে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হলে সাধারন মানুষের অংশগ্রহন বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর আক্রমণের শিকার হতে পারে।
পাশাপাশি নতুন করে বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে বিভিন্ন বস্তি ও নিম্নবিত্ত অধ্যুষিত এলাকায় চলমান ব্লক রেইডের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আচরণ ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে মানুষ আবার বিক্ষোভে নামতে পারে। এটি সামনের সপ্তাহেও হতে পারে বলে সূত্রগুলো আশঙ্কা করছে।