খলিলুরের দেওয়া প্রশ্নে তিনজন ৩৩তম বিসিএস ক্যাডার!
৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ডেসপাস শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান। এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বাদ পড়ে শেষ পর্যন্ত তিনজন চূড়ান্ত হন। তারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খলিলুর রহমান একথা বলেন।
আদালত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খলিলুর রহমান আদালতে বলেন, তার বিক্রি করা প্রশ্ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। পরে মৌখিক পরীক্ষায় তিনজন বাদ পড়েন। বাকি তিনজন নিয়োগ পান।
তবে সেই তিনজন কারা সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিসিএস ছাড়াও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের বিভিন্ন নিয়োগে অন্তন্ত কয়েকশ নিয়োগে হাত ছিল বলেও আদালতে স্বীকার করেছেন খলিলুর রহমান।
খলিল জানান, ২০১২ সালে একবার বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটক হয়েছিলেন। কিন্তু পিএসসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
জবানবন্দিতে খলিলুর আরও জানিয়েছেন, পিএসসির সাবেক পরিচালক হাসিনা বেগমের এমএলএসএসের কাছে তিনি চাকরি প্রার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন খলিলুর।