কলকাতায় বাংলাদেশি মুসলিম শিল্পীদের বয়কটের ডাক
আউটলুক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পিএম
বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, কোনো শিল্পীসত্তা বা কোনো প্রতিভাকে আমরা কোনো ধর্ম বা উপাসনার মোড়কে রাঙিয়ে দিতে চাই না বা তাদের বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদেরকে বয়কট করতে হবে। এই মুহূর্তে ওপার বাংলার যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী অভিনেতা অভিনেত্রী আছেন তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন এই ঘৃণ্য হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন তারপর শুটিংয়ে নামুন।
আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে কলকাতার অনেক স্বনামধন্য পরিচালককে প্রশ্ন করা হলেও মুখ খোলেন না। যারা এখনও বাংলাদেশের শিল্পীদের সিনেমায় কাস্ট করছেন, কিন্তু কলকাতায় অনেক বাঙালি অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন, বাইরে থেকে অভিনেতাদের আনার আগে তবে কী তাদের সচেতন হতে হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শমীক এসব কথা বলেন।
কলকাতার টলি পাড়ার শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, উনি তো ওপার বাংলার মানুষ, টলিউড তার নিয়ন্ত্রণে। বিষয়টা দেখুন শুধু খেলাধুলা দেখলে হবে না। উনি অনেক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিলেন, তপন সেনের শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা ওপারে অত্যাচার করবে আর এপারে এসে সিনেমা করবে আর প্রতিবাদ করবে না এটা তো হতে পারে না। আমি তো নাম করে বলছি গৌতম ঘোষের প্রতিবাদ কোথায় গেল? প্রসেনজিৎ এর মতো একজন অভিনেতা অন্তত তার থেকে তো সমাজ এটা প্রত্যাশা করে।
জয়া আহসান কলকাতায় আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শমীক বলেন, উনি কলকাতায় কেন থাকবেন না? উনি অভিনয় করতে এসেছেন। কিন্তু উনি প্রতিবাদ করুন। জয়া আহসানের হিন্দু দর্শক তো ওপার বাংলাতেও আছেন। উনি জয়া আহসান না হয়ে জয়া ভাদুরি হলে তাহলে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু উনি জয়া আহসান। তাকে প্রতিবাদ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটিতে বর্তমানে কে কার পন্থি কেউ জানে না। দেশটিতে এখন সবাই মৌলবাদী। যে অত্যাচার আফগানিস্তানে হয়নি সেই অত্যাচার আজকে বাংলাদেশে হচ্ছে।
বাংলাদেশি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর প্রসঙ্গে শমীক বলেন, চঞ্চল চৌধুরী বিখ্যাত নাম। এখন তিনি গৃহবন্দি। বাংলাদেশের অন্যান্য নায়ক নায়িকাদের নাম বলে আমি আর তাদের ব্যস্ত করতে চাই না। যারা এদিকে আশ্রয় নিয়ে আছে তারা ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক।