
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন ৮০০ কোটি টাকা ছাড়ালেও পতন হয়েছে সূচকের, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট কমলেও বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১১৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২৩০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড— তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দাম কমেছে ১৪০ কোম্পানির। অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৭ কোম্পানির ৪২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। খান ব্রাদার্স সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনে ঢাকার বাজারে ৮০৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা।
৯.৭৬ শতাংশ দাম বেড়ে ঢাকার বাজারে শীর্ষে আছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৮ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতোই সূচকের বড় পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৬ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭ কোম্পানির, কমেছে ১০৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ৯ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।