ড. ইউনূসের যাবজ্জীবন বা ১০ বছরের সাজা হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
-6669793e4003f.jpg)
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিচার শুরু হলো।
আজ বুধবার (১২ জুন) অভিযোগ থেকে অভিযুক্তদের খালাসের জন্য দাখিল করা আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
তবে যেসব ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির-৪০৯ ধারা রয়েছে। এ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
এছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, মামলা নিস্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।
এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মত কোনও উপদান ছিল না মামলাটিতে। আমরা এই অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৩ জন হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার ২০২৩ সালের ৩০ মে প্রাথমিক অভিযোগকারী হিসেবে মামলাটি করেন।