ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা সেই প্রতিবেদন প্রত্যাহার করলেন ব্রিটিশ এমপিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
-678e1f43ae26d.jpg)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিতর্ক তৈরি করা একটি প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি)। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষপাতমূলক হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তারা প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
মূলত ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংক-ট্যাংক রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বিতর্কিত এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছিল।
বিতর্কিত ওই প্রতিবেদনটিতে হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে একাধিক সমালোচনা করা হয়েছে। এপিপিজি-এর কনজারভেটিভ চেয়ার অ্যান্ড্রু রোসিন্ডেল একটি প্রেস রিলিজে লিখেছিলেন: “বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ থাকা উচিত, যেখানে শুধু ক্ষমতাসীনদের সমর্থকদের জন্য নয় বরং সবার জন্য সকল সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। অবিলম্বে এই ধারার পরিবর্তন না হলে নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে আশা করছে, তা হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।”
ব্রিটেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাউজ অব কমন্সে লেবার পার্টির এক এমপি অভিযোগ জানালে প্রতিবেদনটির বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। আপাতত বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে পর্যালোচনাধীন রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনার জন্য এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিস্তৃত পরিসরে বিতরণের পরিকল্পনা নেই এবং এপিপিজি এ বিষয়ে আর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনা দেশত্যাগের তিন মাস পর নভেম্বরে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
চলতি সপ্তাহে ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করা লেবার পার্টির এমপি রূপা হক বলেছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার। তার দাবি, ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবেদনটি তাকে দেখিয়ে প্রশ্ন করেন, পার্লামেন্টের নামে এসব ভুলে ভরা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আপনার সরকার আসলে চাচ্ছেটা কি?
লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসেন বলেন, প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে... এটি মারাত্মকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বা অত্যন্ত খারাপ বিশ্লেষণ। জবাবদিহিতার হাতিয়ার হিসেবে এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।