Logo
Logo
×

কূটনীতি

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

Icon

ইউএনবি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আয় ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে থাকায় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের পরামর্শ দেন।

তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না এবং অস্ট্রেলিয়ায় অনিয়মিত নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই চেতনার আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তৌহিদ হোসেন। এ সময় সাম্প্রতিক অস্থিরতায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।

এছাড়া ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন তিনি। নার্দিয়া দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।

অস্ট্রেলিয়া সব বাংলাদেশির জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা।

তৌহিদ হোসেন এই সংকটের কারণে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে দীর্ঘায়িত সংকটের এই চূড়ান্ত সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন