গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে নৌ ডাকাতদের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আজ সোমবার বিকেল ৫টার পর উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষ প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪-৫টি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার পর পাঁচ-ছয়টি ট্রলার নিয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন মেঘনা নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ ডাকাত নয়ন, পিয়াস, রিপনপক্ষের ৩০-৪০ জন সদস্য। সে সময় ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ডাকাত দলের উপস্থিত বুঝতে পেরে নদীতে অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা চাঁদপুরের বেলতলীর দিকে গিয়ে আড়াল হয়ে যায়।
এ ঘটনার কিছু সময় পর সোয়া ৫টার দিকে মাথায় হেলমেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, ককটেল নিয়ে ক্যাম্পের দিকে ছুটে আসে। ক্যাম্পে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক ককটেল ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে ডাকাত সদস্যরা। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। একপর্যায়ে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে চলে যায় হামলাকারীরা।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘নৌ ডাকাত নয়ন, পিয়াস, রিপনের নেতৃত্বে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পাঁচ-ছয়টি ট্রলার নিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীদের দলে ৪০ জনের ওপরে সদস্য ছিল। তারা দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিয়ে হামলা করে। তাদের হাতের অস্ত্রগুলো দেখে মনে হয়েছে, থানা থেকে লুট করা অস্ত্র। হামলাকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে শতাধিক গুলি করেছে। আমাদের দিক থেকে ১৯টির মতো গুলি করা হয়। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে কোনো সন্ত্রাসী আহত হয়েছে কি না, তা আমরা প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না।’