মাদারীপুরে ২০০ বছরের প্রাচীন বটগাছ কাটার ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
-6819e2eda2938.jpg)
আরো পড়ুন
মাদারীপুর সদর ইউনিয়নের শিরখাড়া ইউনিয়নের আলম মীরের কান্দি এলাকায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গতকাল সোমবার ‘বিদআত’সহ নানা কারণ দেখিয়ে গাছের ডালপালাসহ গাছটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কেটে ফেলা হয়।এ ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুমার নদীর পাড়ে অবস্থিত বটগাছটি 'অলৌকিক ক্ষমতার' অধিকারী বলে বিশ্বাস করে অনেকে। এ কারণে প্রাচীন এই বটগাছের গোড়ায় অনেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানত করত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
শিরখাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'স্থানীয় আলেমরা বটগাছটি কেটে ফেলেছেন। 'তবে গাছটি কাদের নেতৃত্বে কাটা হয়েছে সে তথ্য আমি এখনও পাইনি। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাই মনে করছেন গাছটি কাটা ঠিক হয়নি। তবে তারা ভয়ে কথা বলছেন না।'
একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম খান বলেন, 'ওই বটগাছটির নিচে কিছু লোক "আচার" পালন করত, যা আলেমরা আপত্তিকর মনে করেন। ইসলামে এ ধরনের বিধি-বিধান না থাকার কারণেই গাছটি কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণেই সবাই একত্রিত হয়ে বটগাছটি কাটা শুরু করেন। তারা কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। ইউনিয়নের সব গ্রাম থেকেই ওই ঘটনাস্থলে লোক গেছে; তাদের মধ্যে তার এলাকার মানুষও ছিল। তার এলাকার কাদের ব্যাপারী, দাদন হুজুর, কাবিল বেপারী, ইব্রাহিম হুজুরসহ তাদের স্থানীয় মসজিদের ইমামও ছিলেন।'
গাছ কাটা সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রী নদী গ্রামের বাসিন্দা মো. দাদন নামের এক যুবক বলেন, মানুষ ওই বটগাছের নিচে 'পূজা' করত বলে স্থানীয় আলেমরা সেটা মেনে নিতে পারেননি। এ কারণেই গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। গাছটি কাটায় প্রায় ২০০ লোক অংশ নিয়েছিল।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, গতকাল রাতে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের ডাকা হয়েছে।