Logo
Logo
×

সারাদেশ

সংবাদ সম্মেলন থেকে 'বের করে' দেওয়া হলো নারী সংবাদকর্মীকে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

সংবাদ সম্মেলন থেকে 'বের করে' দেওয়া হলো নারী সংবাদকর্মীকে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিককে (দৈনিক যুগান্তরের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক মনিকা চৌধুরী) বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিকা চৌধুরী বলেন, সকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে চরমোনাই হুজুরের সংবাদ সম্মেলনের খবর পেয়ে সেখানে যাই। তখন সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়নি। যথারীতি অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে আমার ক্যামেরা-বুম প্রস্তুত করে ফুটেজ নিচ্ছিলাম। তখন হুজুরের অনুসারী কয়েকজন এসে বললেন, ‘আপনি একজন নারী। আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। আমাদের এখানে নারী সাংবাদিক গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি বেরিয়ে যান। আমি জানতে চাই নারী সাংবাদিক কেন গ্রহণযোগ্য নয়? উত্তরে তারা বলেন, ‘এখানে অনেক হুজুর আছেন। তারা ব্যাপারটি পছন্দ করবেন না।’ 

মনিকা চৌধুরী আরও বলেন, অন্যান্য সহকর্মীরা তাদের এই কথার প্রতিবাদ করলে তারা বলেন, ‘নারী সাংবাদিক এখানে কিছুতেই থাকতে পারবেন না। তাকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।’ ঘটনার পর আমি লজ্জা পেয়েছি, কান্না করেছি।  আমি তো একজন সংবাদকর্মী— নারী হই, পুরুষ হই, ট্রান্সজেন্ডার হই— আমি তো সেখানে সংবাদকর্মী পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমার শহরে আমিসহ দু-একজন নারী সাংবাদিক আছেন। আমাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া শুধুমাত্র পেশাগত অসম্মান নয়, নারী হিসেবে অসম্মান নয়, আমি মনে করি এটি সাংবাদিক সমাজের প্রতি অসম্মান। 

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আদালতে দায়ের হওয়ার মামলার বিষয়ে মুফতি ফয়জুল করিম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকেরা মুফতি ফয়জুলের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে ফয়জুল বলেন, আমরা ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা মেনে চলি। অন্যদের পর্দা মেনে চলার জন্য উদ্ভূত করি। এজন্য সভা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।

আগের প্রতিটি তারিখে পীর অনুসারী সহস্রাধিক নেতা-কর্মী আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ করে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যা আদালতের ওপর চাপ প্রয়োগের শামিল করে মনে মন্তব্য করেন আইনজীবীরা। 

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল বলেন, সোমবার রাজপথে না নামার জন্য তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত অবমাননা হয়, আমরা এমন কিছু করতে চাই না। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুই প্রার্থী মামলা করে ন্যায় বিচার পেয়েছেন। তাই আদালতের ওপর ভরসা রেখে এবং আমার দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশনায় আমিও আদালতের দারস্থ হয়েছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দি‌য়ে‌ছিলেন। তাই দলের প্রার্থী হয়ে হাতপাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সকল দলের প্রার্থী অংশ নিয়েছে। কেউ নামে কেউ বেনামে। আমরা বেনামে নেইনি। যারা বেনামে নিয়েছে তারা মুনাফেকি করেছে।-

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন