বগুড়ায় এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে শহরের পৌর পার্কে টিটু মিলনায়তনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে নীরব ভূমিকায় ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বিকালে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের’ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে এনসিপি।
অপরদিকে, এই আয়োজনের বিরোধিতা করে একইস্থানে পাল্টা প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।
বেসরকারি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিকাল ৫টার দিকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। সমাবেশ শুরু হলে কিছুক্ষণ পরই ছাত্র আন্দোলনের একাংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে। এ সময় এনসিপির নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর দফা দফায় মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকি সারজিস আলম বক্তব্য দেওয়ার সময়ও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। তবে এই সংঘর্ষ নিয়ে কোনো পক্ষের সরাসরি বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিহত করা হবে। বগুড়া থেকেই প্রতিরোধের সূচনা হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে গত ১৬ বছরে বগুড়া সবদিক থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চাকরি, প্রমোশন, অবকাঠামো সবখানেই বৈষম্য করা হয়েছে। বগুড়ার বিমানবন্দর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি, আধুনিক হাসপাতালকে তৃতীয় শ্রেণির প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম থাকলেও কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয় না।’
এ সময় তিনি ঢাকা থেকে বগুড়ায় সরাসরি রেললাইন চালুর দাবিও জানান।
বক্তৃতায় তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মিলনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি জেলার ঐতিহ্যবাহী প্যালেস মিউজিয়াম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা দখল করেছেন। বগুড়ায় এ রকম অসংখ্য আওয়ামী দালাল রয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।