বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকায় পিতা-মাতার অত্যাচার থেকে রক্ষায় স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সকালে তাদের ঘরের দরজা না খোলায় গ্রামবাসী এসে দরজা ভেঙে বিছানার ওপর থেকে লামিয়া এবং ফ্যানের সঙ্গে রাহাতের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুরে তাদের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে রাহাত ও লামিয়ার বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে লামিয়ার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। লামিয়ার ওপর শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতন চালাত।
এসব বিষয় নিয়ে সালিশ হলেও শ্বশুর-শাশুড়ি কারণে-অকারণে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। পিতা-মাতা হওয়ায় রাহাতও তাদের কিছু বলতে পারত না। সকলের ধারণা এসব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাহাত তার স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।