বগুড়ায় বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে যত অপকর্মের অভিযোগ মীর শাহে আলমের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক কমিটি গঠন ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, বগুড়া জেলা বিএনপিতে একচ্ছত্র কায়েমে উঠেপড়ে লেগেছেন মীর শাহে আলম। তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একেবারে ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করছেন।
সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে মীর শাহে আলমের বিরুদ্ধে। বগুড়া জেলা স্কুলের সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানু তার (শাহে আলম) বিরুদ্ধে ওই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রফিকুল ইসলাম অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম গত ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে কৌশলে মহাস্থান মাহীসওয়ার এবং মহাস্থান উচ্চবিদ্যালয়সহ ১০২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সুপারেনটেনডেন্টকে নিয়ে গোপনে মিটিং করেছেন। ওই মিটিং ডেকেছিল উপজেলা শিক্ষা অফিসার। তবে, এর নেপথ্যে ছিলেন মীর শাহে আলম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই মিটিংয়ে মীর শাহে আলম বলেছিলেন, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির যে তালিকা সেটি তিনি দেবেন। সেই তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবর অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করার কথাও বলেন তিনি। অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মানু বলেন, ওই ঘটনাটি সঠিক এবং সত্য। বিশ্বাস না হলে সবিনয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখতে পারেন। শাহে আলমের নির্দেশ না মানলে চাকরিচ্যুত করাসহ বিভিন্ন হেনস্তা করার হুমকি দেন। এর কারণ তিনি শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য করবেন। যার প্রতিফলন এরমধ্যে উপজেলার মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিটি করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মীর শাহে আলমের তালিকা অনুযায়ী জোরজবরদস্তি করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আইনি বিরোধী ও অবৈধ বলা হয় অভিযোগে।
এ বিষয়ে জানতে মীর শাহে আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে (কল ও হোয়াটসঅ্যাপে) যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে পরিচয় দিয়ে এসএমএস পাঠানো হলেও সেটিরও প্রতিত্তোর মেলেনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে মামলার হুমকি প্রদানের অভিযোগে মীর শাহে আলীমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।