রাস্তায় টাইলস বসানোকে কেন্দ্র করে তর্ক, নাট্যকর্মী লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ এএম
দীপক কুমার গোস্বামী
বাড়ির সামনের রাস্তায় টাইলস বসানোকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক দীপক কুমার গোস্বামীর (দীপক সুমন) লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই ঘটনা ঘটে।
দীপক কুমার গোস্বামী ফেসবুকে লেখেন, গত বুধবার রাতে পার্বতীপুরে আমার বাড়িতে এসে আনুমানিক ৫০ জনের সংঘবদ্ধ দল আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি ভিডিও করতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেয়। আমি ফোন ফেরত চাওয়ার কারণে একপর্যায়ে সবাই মিলে আমাকে মারধর করে। আমার মা আমাকে রক্ষা করতে গেলে মাকেও আঘাত করে ওই গুণ্ডাবাহিনী।
দীপক কুমার গোস্বামী আরও বলেন, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন আমাদের গলির বিএনপির এক নেতা। আর তাকে উসকে দিয়েছেন (স্থানীয়দের ভাষ্যমতে) জামায়াত সমর্থিত একজন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক। আমার বাড়ির আশেপাশে এই মুহূর্তে এদের অনেক দাপট। পুরো ঘটনার সময় বিএনপির একজন নারী নেত্রীও ছিলেন যিনি আমার মাকে অকথ্য গালিগালাজ করছিলেন। আমি ভিডিও করতে গেলে উনি বলেন, ফোনটা কেড়ে নাও, নাহলে এই হিন্দুরা সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে এগুলো প্রচার করবে। সাথে সাথে ওই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ওপর।
তিনি আরও বলেন, রাত ১১টা নাগাদ আমার ফোন ভাঙাচোরা অবস্থায় ফেরত দিয়ে নেতা বলেন, আমাকে একটা ফোন কিনে দেবেন। আমি সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেইনি। এরপর তার কাছে ক্ষমা চাইতে হয় আমাকে এবং তিনি নির্দেশ দেন আরেক নারী নেত্রীর কাছেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে। আমার মা আর ছোট-ভাইয়ের নিরাপত্তার প্রশ্নে আমি সবই করি। গণ-অভ্যুত্থানের পর এরকম অবস্থার মুখোমুখি হবো ভাবতেও পারিনি
তিনি আরও বলেন, এই ফাঁকে আম্লিকের (আওয়ামী লীগের) ভাই-বোনেরা আবার বলে বইসেন না, 'আগেই তো ভালো ছিলাম'। আগে ভালো ছিলাম না- এইটা প্রথম কথা। এখন ভালো থাকার তরিকা খুঁজছি- দ্বিতীয় এবং শেষ কথা।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। চলাচলের রাস্তার ওপরে সুমনদের বাড়িতে গাড়ি উঠানোর জন্যে টাইলস বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে তর্ক হয়েছে। আমরা পারিবারিকভাবে খুবই আন্তরিক। তার বাবা আমার শিক্ষক। কিন্তু সুমন কেনো অদ্ভুত ব্যবহার করলো এখনো মাথায় আসছে না।